রাজধানীর পাইকারি বাজারে চালের দাম বস্তাপ্রতি কমেছে ৫০ থেকে ১শ টাকা পর্যন্ত। তবে খুচরা বাজারে তার প্রভাব নেই বললেই চলে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা ভারতীয় চাল আসছে এই খবরে দামের উর্ধ্বমুখি লাগাম টানা গেলেও তা এখনো বাজারে এসে পৌঁছায়নি। অন্যদিকে ঢাকার বাইরের মোকামেও কিছুটা কমেছে চালের দাম।
বেসরকারি পর্যায়ে গত ৬ জানুয়ারি থেকে তিন ধাপে ১৮৫ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৮৭ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। সরকারিভাবেও ৩৪ টাকা কেজি দরে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টন চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। এত এত উদ্যোগের পরও চালের বাজারে স্বস্তি মিলে না ভোক্তাদের।
রাজধানী মোহাম্মদপুরের অন্যতম এই পাইকারি চালের আড়তে প্রতি বস্তা গুটি স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০ টাকায় যা দিন দশেকের ব্যবধানে কমেছে ১ শ টাকা। একইভাবে পায়জম চাল বস্তাপ্রতি কমেছে ১শ টাকা। আটাশ চালের দামও কমেছে প্রায় একই হারে।
বস্তাপ্রতি শতটাকা দাম কমার এ হিসাবের সুফল নেই খুচরা বাজারে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতীয় চাল না আসায় দাম এখনো খুব একটা কমেনি।এদিকে, দেশের বৃহৎ চালের মোকাম নওগাঁয় সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতি কেজি চালের দাম কমেছে ১ থেকে ২ টাকা।
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের পর্যাপ্ত মজুদ নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাজার ব্যবস্থাপনা জোরদার ও তদারকি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক বলছেন, আমাদের বাজার ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। বাজার ব্যবস্থা ভেঙে যাওয়ার কারণেই কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারে নি।ভারতীয় চাল বাজারে এলে চালের দাম অনেকটাই সহনীয় হয়ে আসবে বলে জানান, ব্যবসায়ীরা।